বোম্বে হাই কোর্ট একটি যুব দম্পতির বিবাহ বাতিল করেছে, যারা তাদের সম্পর্ক শারীরিকভাবে পূর্ণ করতে অক্ষম ছিলেন, এই ঘটনাকে "আপেক্ষিক অক্ষমতা" হিসেবে চিহ্নিত করে। বিচারপতি বিভা কানকানওয়াডি ও এস জি চাপালগাওকারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের প্রদান করা এই রায় দম্পতির মানসিক, আবেগিক, ও শারীরিক বিচ্ছিন্নতার গুরুত্বারোপ করেছে।
মামলাটি ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের হাই কোর্টে এসেছিল এক ২৭ বছর বয়সী পুরুষের আবেদনের মাধ্যমে, যার বিবাহ বিতর্কের কেন্দ্রস্থলে ছিল। ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ একটি পারিবারিক আদালতে তার ২৬ বছর বয়সী স্ত্রীর দায়ের করা প্রাথমিক বিবাহ বাতিলের আবেদন নাকচ হয়েছিল, যেখানে দু'জনের সম্ভাব্য যৌথ ষড়যন্ত্রের ধারণার উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
"আপেক্ষিক অক্ষমতা" ধারণাটি হাই কোর্টের মতে, এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি যৌন সম্পর্কে সক্ষম হলেও তার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে এই কাজ সম্পাদন করতে অক্ষম। এই অবস্থা বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক কারণের কারণে হতে পারে।
যে দম্পতি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিবাহিত হয়েছিলেন, তারা মাত্র ১৭ দিন পরে আলাদা হয়ে যান, স্ত্রী অভিযোগ করেন যে স্বামী বিবাহ পূর্ণ করতে অস্বীকার করেছেন। প্রথমে, পুরুষটি তার স্ত্রীকে শারীরিক অন্তরঙ্গতার অভাবের জন্য দোষারোপ করেন। তবে পরবর্তীতে, তিনি তার আপেক্ষিক অক্ষমতা স্বীকার করেন, যা তিনি দাবি করেন যে তার স্ত্রী বিশেষ এবং এটি সাধারণ অক্ষমতার পরিচায়ক নয়।
বিচারপতি কানকানওয়াডি ও চাপালগাওকার দম্পতির সম্মুখীন "হতাশার যন্ত্রণা" ঠিকানা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা জোর দেন, বলেন যে এই ধরণের মামলা "বিবাহের যুবা ভুক্তভোগীদের" দুঃখ ও ব্যথা তুলে ধরে, যারা একটি সম্পূর্ণ সংযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়।
হাই কোর্ট পারিবারিক আদালতের আগের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে, যা স্ত্রীর অনুরোধকে একটি পূর্ণ বিচার ছাড়াই তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্তের জন্য নাকচ করে দেয়। তাই, বিবাহ বাতিল করার হাই কোর্টের সিদ্ধান্তটি ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা ও আপেক্ষিক অক্ষমতার বিশেষ চ্যালেঞ্জগুলি স্বীকার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এই রায়ের ফলে ভবিষ্যতে এই ধরণের মামলা কিভাবে সামলানো হবে তার একটি নজির স্থাপন হতে পারে, যা অন্যান্য অনুরূপ পরিস্থিতিতে থাকা ব্যক্তিদের দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও সামাজিক কলঙ্ক ছাড়াই সাহায্য করতে পারে।