ফুটবলের মাঠে আবারো বাজিমাত করলো মোহনবাগান। তারা এবার ভারতীয় সুপার লিগ (ISL) শীল্ড জিতে নিজেদের সাফল্যের পতাকা আরো উঁচুতে তুলে ধরল। এই জয় তাদের দক্ষতা, কৌশল, এবং দলগত প্রচেষ্টার এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
এই মৌসুমে মোহনবাগান তাদের শ্রেষ্ঠত্ব বারবার প্রমাণ করেছে। খেলোয়াড়রা প্রতিটি ম্যাচে অসাধারণ দক্ষতা ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন, যা তাদের এই শিরোপা জয়ে সহায়তা করেছে। দলের কোচ ও প্রশিক্ষকবৃন্দ তাদের কৌশল এবং পরিকল্পনায় অনবদ্য যোগ্যতা দেখিয়েছেন, যা খেলায় পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
বিশেষ করে ফাইনাল ম্যাচটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ এবং দর্শকদের আসনের ধারে রাখার মতো। মোহনবাগানের আক্রমণাত্মক খেলা এবং রক্ষণাত্মক সুদৃঢ়তা প্রতিপক্ষের যে কোন আক্রমণ প্রতিহত করেছে। দলের স্ট্রাইকাররা যেমন গোল করেছেন, তেমনি গোলকিপার ও ডিফেন্ডাররা নিজেদের দক্ষতায় প্রতিপক্ষকে বারবার হতাশ করেছেন।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন গতকাল সবুজ-মেরুন রংয়ের জোয়ারে ভেসে গিয়েছিল যখন মোহনবাগান ভারতীয় সুপার লিগ শিল্ডের চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠে। ভক্তরা গান গেয়ে, হেসে, উল্লাস করে তাদের দলের ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করছিলেন।
গতকালের ম্যাচটি মোহনবাগান ও মুম্বাই সিটির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মোহনবাগানের জয়ের দরকার ছিল নিশ্চিত করতে যে তারা লিগ শিল্ড তুলে নেবে। এই ম্যাচটি তাদের জন্য একটি অঘোষিত ফাইনালের মতো ছিল, যা তারা গর্বের সাথে জিতে নেয়। কাউকো, মনবীর এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রা বলেছিলেন যে, শেষ তিনটি ম্যাচে জয়লাভ করেই তারা শিল্ড জয়ের আশা করছিলেন।
ম্যাচ শেষে এক অনাবিল আনন্দের সাগরে ভেসে গেলেন খেলোয়াড় এবং কোচ হাবাস। পেত্রাতোস ও কামিন্সের নেতৃত্বে মোহনবাগান যেন নতুন কীর্তি গড়েছে। ম্যাচ শেষে লিস্টন ও সাদিকুর উদযাপনে গ্যালারি কাঁপানো দৃশ্য ছিল মনোগ্রাহী। গ্যালারিতে তাদের বড় কাটআউট সহ শোলের স্টাইলে ব্যানার সবার নজর কেড়েছিল।
এই জয় মোহনবাগানের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক যোগ করেছে।